স্বদেশ ডেস্ক:
সিলেট মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণের মামলার চার নাম্বার আসামি অর্জুন লষ্করকে হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত অর্জুন জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে। রোববার সকালে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিলেট জেলা পুলিশ।
এর আগে একই মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকেও সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে গ্রেফতার করা হয়। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে এমসি কলেজে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ইসলাম ও তারেক আহমেদকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায় দিরাই ও জগন্নাথপুর থানা পুলিশ। তারেকের গ্রামের বাড়ি জগ্ননাথপুর উপজেলা ও রবিউলের গ্রামের বাড়ি দিরাই উপজেলায় অভিযান চালানো হয়। শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দিরাই থানার ওসি মো. আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।
জগদল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিবলী আহমেদ বেগ জানান, চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় রবিউলের নিজ গ্রামসহ পুরো উপজেলায় ক্ষুব্ধ মানুষ ধর্ষকদের ঘৃণা জানাচ্ছে। তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
দিরাই থানার ওসি মো. আশরাফুল ইসলাম জানান, রবিউলকে গ্রেফতার করতে পুলিশের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এজন্য শনিবার বিকেলে পুলিশ গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে।
জগন্নাথপুর থানার ওসি মো. ইখতিয়ারউদ্দিন চৌধুরী জানান, আলোচিত মামলার আসামি গ্রেফতার পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে ঘুরতে এসেছিলেন ওই তরুণী। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রাবাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ করে তারা। রাত ১১টায় শাহপরাণ থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে। বর্তমানে ওই তরুণী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।